প্রযুক্তি’ শব্দটি শুনলেই আমাদের চোখে ভাসে মুভিতে দেখা বিদঘুটে আর অচেনা সব যন্ত্রপাতি। তবে বিষয়টি এতোটা কঠিন ভাবার কোনো কারণ নেই। প্রযুক্তি জগতেও ঘটে থাকে মজার সব ঘটনা। চলুন, দেখে নেওয়া যাক ‘টেক ওয়ার্ল্ড’র এমন কিছু মজার ঘটনা।
১. এটা মোটামুটি সবার জানা যে, বিখ্যাত সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যানের নাম ‘বিল গেটস’। তবে মজার কথা হচ্ছে বিল গেটসের বাড়ির ডিজাইন করা হয়েছিল একটি ম্যাকিনটশ কম্পিউটার ব্যবহার করে।
২. কম্পিউটারের মাউস খুবই প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্রাংশ; বিশেষ করে ডেস্কটপের জন্য। এই বহুল প্রয়োজনীয় ডিভাইসটি ১৯৬৪ সালের দিকে প্রথম উদ্ভাবন করেছিলেন Doug Engelbart এবং মাউসটি ছিল কাঠ দিয়ে তৈরি।
৩. আমরা অনেকেই নিজেদের মাঝে একটি ছোট প্রতিযোগিতা করে থাকি। প্রতিযোগিতাটি হচ্ছে, কে দ্রুত টাইপ করতে পারে। মজার বিষয়, একটি সাধারণ কার্যদিবসে একজন টাইপিস্টের আঙ্গুলগুলো প্রায় ১২.৬ মাইলের মতো ভ্রমণ করে থাকে।
৪. ‘Alaska’-ই বিশ্বের মধ্যে এমন একটি স্থান যা আপনার Qwerty কি-বোর্ডের (সাধারণত আমরা যে কি-বোর্ড ব্যবহার করি) এক সারিতে থাকা অক্ষরগুলো দিয়েই লেখা যায়।
৫. e-bay তে সাধারণত প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬৮০ ডলারের মতো লেনদেন হয়ে থাকে।
৬. বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এইচপি, গুগল, অ্যাপল এবং মাইক্রোসফট এর একটি বিষয়ে মিল রয়েছে। এই চারটি টেক প্রতিষ্ঠানই গ্যারেজ থেকে শুরু হয়েছিল।
৭. ইউটিউবের ডোমেইন নাম www.youtube.com। এটির রেজিস্টার করা হয়েছিল ২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে।
৮. এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, টাইপিং স্পিড এর জন্য Dvorak কি-বোর্ড Qwerty কি-বোর্ডের তুলনায় বেশ ভালো। Dvorak কি-বোর্ড দিয়ে Qwerty’র তুলনায় প্রায় ২০ গুণ দ্রুত টাইপ করা যায়।
৯. বর্তমান সময়ে সব ওয়েব সাইটেই ব্যানার এর মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য বা অন্যকিছুর বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এই ব্যানার অ্যাডভার্টাইজিং সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে ব্যবহার করা হয়েছিল।
১০. আমরা অনেকেই বিভিন্ন প্রকারের বিভিন্ন রঙের সানগ্লাস ব্যবহার করে থাকি। জানার বিষয় হচ্ছে, এই চশমার উদ্ভাবক হচ্ছে চীন এবং মজার বিষয় হচ্ছে কালো রঙের চশমা সর্বপ্রথম তৈরি করা হয়েছিল চীনের আদালতের বিচারকের জন্য।
উদ্দেশ্য, বিচার কার্যের সময় বিচারকের অভিব্যক্তি বোঝা না যায়।
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন